Search This Blog

Sunday, August 6, 2017

ওষুধ বাড়াচ্ছে ধর্ষণ!


যৌন উত্তেজক ওষুধের ছড়াছড়ি আর অবাধ ব্যবহারের কারণেই দেশে যৌন হয়রানি, ধর্ষণসহ নানা বর্বরতার ঘটনা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেসব ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট যৌন উত্তেজনায় কিছু মানুষ নানা উন্মত্ত কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছে। ঔষধ অধিদফতরের খামখেয়ালিপনায় দেশের বৈধ-অবৈধ শতাধিক প্রতিষ্ঠান প্রায় আড়াইশ ধরনের ‘সেক্স ড্রাগ’ প্রস্তুত করে তা অবাধে বাজারজাত করে চলেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যৌন উত্তেজক সিরাপ, ট্যাবলেট, ক্যাপসুল কিংবা হালুয়ায় অপিয়াম উদ্ভূত অপিয়েট (এক ধরনের মাদক) এবং সিলডেনাফিল সাইট্রেট নামের রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে উচ্চমাত্রার ক্যাফেইন। সেবনকারীরা সিলডেনাফিল সাইট্রেটে হঠাৎ কয়েক মুহূর্তের জন্য যৌন উত্তেজনা বোধ করলেও এটি স্থায়ীভাবে যৌনক্ষমতা ধ্বংস করে দেয়। সেবনকারীরা নেশাসক্ত হয়ে পড়ে এবং নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসহ লিভার, কিডনি ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে বনানীর ধর্ষণযজ্ঞসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত যৌন হয়রানিমূলক নানা বর্বরতার পেছনেও ‘যৌন উত্তেজক ওষুধ’ গুরুত্ববহ ভূমিকা রেখেছে। বাড্ডায় মাত্র সাড়ে তিন বছরের শিশুকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যার ঘটনার একমাত্র অভিযুক্ত শিপন। মধ্যবাড্ডার এক হারবাল কোম্পানির ‘কস্তুরি’ ক্যাপসুল সেবন করেই উন্মত্ত হওয়ার দাবি করে সে। অভিযোগ রয়েছে, হারবাল কোম্পানিগুলো চিকিৎসার নামে যৌন উত্তেজক মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মূলত যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট গুঁড়া করে হালুয়া বানিয়ে হারবাল ওষুধ হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হারবাল প্রতিষ্ঠানের মালিক ও চিকিৎসকরা রোগীদের আকৃষ্ট করতে নিজেরাই ওষুধের নাম তৈরি করে থাকেন। বাহারি আর ইসলামী কায়দার নাম দেখে রোগীরা আকৃষ্ট হয়।

কিন্তু এটি রোধে প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। অভিযানও চলছে না এসব প্রতিষ্ঠানে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ড। কিছু প্রতিষ্ঠান ড্রাগ লাইসেন্সের আড়ালে ভেজাল ওষুধ তৈরি করে বিকিকিনি করছে। এদের অনেকেই অলৌকিকভাবে ঔষধ অধিদফতরের ‘ড্রাগ লাইসেন্স’ পর্যন্ত পেয়ে গেছে। ডাক্তাররা নিজস্ব প্যাডে নয়, বরং চিরকুটে লিখে দেন নানা ধরনের যৌন উত্তেজক ওষুধের নাম।
একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রায়হানুল হক জানান, এনার্জি ড্রিংকস নামে যেসব পানীয় বিক্রি হচ্ছে তা হচ্ছে স্রেফ সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টিকারী পানীয়। এর মধ্যে রয়েছে অ্যালকোহল (মদ) আর সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টির নানা উপাদান। বোতলজাত বা টিনজাত উপাদানের তালিকায় এই অ্যালকোহলের আধুনিক নাম দেওয়া হয়েছে ‘এনার্জি’।

পান করার পর এগুলো শরীরে সাময়িকভাবে ভিন্ন ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি করে। যারা নিয়মিত খায় তারা ধীরে ধীরে এতে আসক্ত হয়ে পড়ে। এসব পানীয় নিয়মিত পান করলে কিডনি, লিভার, ফুসফুসসহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে নানা জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে। এগুলো মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর এ বি এম ফারুক মনে করেন, যে কোনো ওষুধ নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে বিক্রির অনুমোদন দেওয়া ঠিক নয়। তিনি বলেন, এসব ওষুধ সেবনে শুধু পুরুষত্ব ধ্বংস কিংবা যৌনশক্তি কমে গেল তা নয়, সেবনকারীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকেই। একশ্রেণির হারবাল, ইউনানি নামধারী ভুয়া চিকিৎসক তরুণদের যৌন রোগের ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন উত্তেজক ওষুধ খাওয়াতে থাকেন, যা একসময় ভয়ঙ্কর ক্ষতি ডেকে আনে। অনেকে যৌন অক্ষম পর্যন্ত হয়ে পড়ে। কেউ কেউ আবার লিভার ও কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়।

ঔষধ অধিদফতরের লাইসেন্সের আড়ালে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে প্রস্তুত করছে যৌন স্ট্রং হাই পাওয়ার বড়ি, লং টাইম হালুয়া, হাব্বে কবাদ, স্ট্রং মেসেজ অয়েল মালিশ, সেক্স কিং, বেগম রাহাত, কস্তুরি মালিশ, ব্রেস্ট শক্ত করার মালিশ, কুস্তায় মাড়োয়ারি, কস্তুরি, জিনসেং, প্লাস সেক্সসল, শরবতে জিনসিন প্লাস, নিশাত গোল্ড, রিট্যাব গোল্ড (কুরছ মুকাব্বি খাছ), ট্যাবলেট টাস, ক্রিম টিলা ইত্যাদি নামের যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, ক্যাপসুল ও সিরাপ। কোনো কোনো হেকিমি দাওয়াখানা ওষুধ সেবনের ৫৯ সেকেন্ডের মধ্যেই ওষুধের গুণাগুণ কার্যকরের গ্যারান্টি পর্যন্ত দেয়। এসব ওষুধ খেয়ে যৌন দুর্বলতা দূর হওয়া পরের কথা, জটিল ও কঠিন রোগে যৌবনশক্তি স্থায়ীভাবে বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। নারী-পুরুষের যৌন রোগসহ জটিল রোগের চিকিৎসা দেওয়ার নামে বিভিন্ন চক্র দেশজুড়ে প্রতারণার বাণিজ্য ফেঁদে বসেছে। পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং নিজস্ব প্রচারপত্রের মাধ্যমে সেক্স বৃদ্ধি, শুক্রকীট সবল, চিকন ও মোটা স্বাস্থ্য করা, অনিদ্রা, পেট ফাঁপা, একজিমা, গ্যাস্ট্রিক ও চুল ওঠা রোগ শতভাগ নিরাময়ের অঙ্গীকার দেওয়া হয়।

এসব প্রচারণায় বিশ্বাস করেই সরলপ্রাণ মানুষ নানা প্রতারণার শিকার হন। জিনসিন পাওয়ার, ম্যাসেজ অয়েল তৈরি করছে প্যানাসিয়া ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ (ইউনানি), বি-জিনসিন, শরবত জিনসিনের উৎপাদক বিসমিল্লাহ ল্যাবরেট

Tuesday, May 9, 2017

ছোটবেলার বাহুবলী আসলে মেয়ে!

ভারতের প্রথম ও একমাত্র ১০০০ কোটি রুপি আয়
করা সিনেমা ‘বাহুবলী: দ্য কনক্লুশন’ বা ‘বাহুবলী ২’
বক্স অফিসে যে ঝড় তুলেছে, তা আরও বেশ
কিছুদিন চলবে বলেই মনে হচ্ছে। আর এই
ঝড়ের ফাঁকে ফাঁকে ছবির সম্পর্কে পাওয়া যাচ্ছে
নিত্যনতুন সব খবর। গণমাধ্যমকর্মীরাও এই সিনেমার
থলে থেকে খুঁচিয়ে বের করছেন চমকপ্রদ
সব তথ্য। সম্প্রতি দক্ষিণ ভারতের এক আঞ্চলিক
পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ‘বাহুবলী ২’ সম্পর্কে
মজার এক তথ্য। এই ছবিতে মহেন্দ্র বাহুবলীর
চরিত্রে অভিনীত প্রভাসের ছোটবেলার যে
দৃশ্যগুলো আছে, সেখানে কাজ করেছে একটি
মেয়েশিশু। মেয়েটির নাম অক্ষিতা বালসান।
অক্ষিতা বালসানকে নিয়ে যখন ‘বাহবলী ২’-এর শুটিং
করা হয়, তখন ওর বয়স মাত্র ১৮ দিন। অক্ষিতার বাবার নাম
ভালসান ও মা স্মৃতি। ভালসান এই সিনেমার কেরালা
অংশের শুটিংয়ের সময় প্রডাকশন নির্বাহী হিসেবে
কাজ করেছেন। পরিবার নিয়ে তিনি কেরালাতেই
থাকেন। আর সেই সুবাদেই অক্ষিতা এই ব্লকবাস্টার
ছবিতে মুখ দেখানোর সুযোগ পেয়েছে।
সূত্রটি জানায়, এই শিশুর দৃশ্য ধারণ করতে সময়
লেগেছিল পাঁচ দিন।
কিছুদিন আগে এই সিনেমার নায়ক প্রভাসের
কোলে একটি ছেলে শিশুর ছবি ইন্টারনেটে
ভাইরাল হয়। সে সময় অনেকেই দাবি করেছিলেন,
এই শিশুটি সিনেমায় প্রভাসের শিশু সময়ের অংশে
কাজ করেছে। কিন্তু তথ্যটি সঠিক নয়। আসলে
মেয়েশিশু অক্ষিতাকেই দেখা গেছে ‘বাহুবলী
২’ ছবিতে বাহুবলীর শৈশবের অংশে। ইন্ডিয়ান
এক্সপ্রেস।


Saturday, May 6, 2017

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা আজ ভর্তির জন্য কলেজ ঠিক করে দেবে শিক্ষা বোর্ড

এবারও এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের
ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা
হবে। তবে একজন শিক্ষার্থী অনলাইন ও
এসএমএসে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে
আবেদনের সুযোগ পেলেও তার পছন্দক্রম ও
যোগ্যতা অনুযায়ী ভর্তির জন্য একটি কলেজ ঠিক
করে দেবে শিক্ষা বোর্ড।
গতবার একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে
ভর্তির জন্য আবেদন করেছিল, তার সব কটির
মেধাক্রম করে দিয়েছিল শিক্ষা বোর্ড। সেখান
থেকে আসন অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করেছিল
কলেজগুলো। এতে একধরনের বিশৃঙ্খল
পরিস্থিতির সৃষ্টির ফলে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে
পড়েছিল। বিশেষ করে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা
শিক্ষার্থীদের বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছিল।
তখন কলেজ পরিবর্তন করলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী
ছেড়ে যাওয়া কলেজ থেকে ভর্তির টাকা ফেরত
পায়নি।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন গতকাল
শনিবার প্রথম আলো কে বলেন, নীতিমালায় তিনি
সই করেছেন। শিক্ষামন্ত্রীর অনুমতিক্রমে
২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির নীতিমালা আজ
রোববার জারি হতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল
প্রকাশিত হয়েছে। এতে ১০ বোর্ডের
অধীনে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন পাস করেছে।
জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন। এর
মধ্যে আট বোর্ডের অধীন এসএসসিতে
জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৭ হাজার ৯৬৪ জন। ফল
প্রকাশের পর এসব শিক্ষার্থী ও তাদের
অভিভাবকেরা পছন্দের কলেজে ভর্তি নিয়েই
চিন্তায় আছেন। কারণ আসনস্বল্পতার কারণে এবারও
জিপিএ-৫ পেয়েও অসংখ্য শিক্ষার্থী পছন্দের
কলেজে ভর্তি হতে পারবে না।
তবে আসনের কারণে কেউ ভর্তির বাইরে
থাকবে না বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একজন কর্মকর্তা প্রথম
আলো কে বলেন, এবার বোর্ড থেকে
কলেজ ঠিক করে দেওয়ার পর ১৮৫ টাকা ফি দিয়ে
ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ওই কলেজে ভর্তির
নিশ্চয়তার কথা জানাবে, যা আগে করত কলেজ। এটা
অনেকটা ‘বুকিং’ করে রাখার মতো। কারণ একই
সময়ে সে পছন্দক্রমের মধ্যে থাকা অন্য
কলেজে যাওয়ার (মাইগ্রেশন) সুযোগ পাবে।
তবে ওই সব কলেজে আসন খালি থাকতে হবে।
তবে আসন খালি না থাকলে বোর্ড নির্ধারিত
কলেজেই শিক্ষার্থীকে ভর্তি হতে হবে।
নির্ধারিত সময়ে এই প্রক্রিয়াগুলো শেষ হলে
শিক্ষার্থী শুধু কলেজে গিয়ে চূড়ান্তভাবে ভর্তি
হবে।
প্রথম দফায় ১০টি কলেজেও যদি কোনো
শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ না পায়, তাহলে আরও দুই
দফায় সে আবেদনের সুযোগ পাবে। প্রাথমিক
সিদ্ধান্ত অনুযাযী, ৯ মে থেকে আবেদন গ্রহণ
শুরু হওয়ার কথা আছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারও ভর্তি
কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদশ প্রকৌশল
বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।
জানতে চাইলে এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত
বুয়েটের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ প্রথম
আলো কে বলেন, এবারের পদ্ধতিটা বেশ
ভালো হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি
কমবে এবং তারা বেশি উপকৃত হবে।

Monday, May 1, 2017

সিমের তথ্য

সব সিমের ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক

সব সিমের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স চেক

সব সিমের ব্যালেন্স চেক

Sunday, April 30, 2017

ইউটিউব থেকে ইনকাম করার কথা ভাবছেন কিন্তু কিভাবে শুরু করবেন বা কিভাবে কাজ করবেন কিছু বুঝতেছেন না ও যারা শুরু করেও অসফল তারা দেখুন।

প্রিয় নতুন সাইটের পাঠক বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই ভালো
আছেন এই কামনা নিয়ে শুরু করছি আমার আজকের
টিউন। আমার টিউনটি তাদের জন্য যারা ইউটিউব
থেকে আয় করবেন বলে ভাবছেন কিন্তু শুরু
করতে পারছেন না অথবা যারা শুরু করেও অসফল
হয়েছেন তাদের জন্য। তবে আমার এ টিউনটি
শেষ পর্যন্ত পড়বেন, আশা করি আজই শুরু করতে
পারবেন। আমার এ লেখা অনুযায়ী ধাপে ধাপে
কাজ করবেন অবশ্যই সফল হবেন।
যে কোন কাজ করতে হলে আমি যে কথার
উপর সবচেয়ে বেশি বিশ্বাসী সেই কথাটা দিয়েই
শুরু করলাম, আর সেটা কথাটা হলো “আপিনি যে
কাজটা করবেন সেই কাজ সম্পর্কে ভালোভাবে
জানা”, না জেনে কোন কাজ করলে তার ফল
ভালো হয় না। তাই আপনাকে কাজ শুরু করার আগে
অবশ্যই কাজ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে
হবে। যাহোক, আমাদের আজকের কাজের বিষয়
হলো ইউটিউব।
এবার আসি ইউটিউব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায়-
ইউটিউব কি?
ইউটিউব হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয়
ভিডিও শেয়ারিং সাইট, যার মাধ্যমে যেকোন ইউজার
নিজের ভিডিও আপলোড করতে পারে এবং
অন্যদের আপলোড করা ভিডিওগুলোও দেখতে
পারে। ইউটিউব ২০০৫ সালে প্রথম মুক্ত ভিডিও
শেয়ারিং ওয়েবসাইট হিসেবে যাত্রা শুরু করে এবং
বর্তমানে এর জনপ্রিয়তা সবার শীর্ষে। এই
ওয়েবসাইটের শ্লোগান হল “broadcast
yourself”.
ইউটিউব মার্কেটিং কি?
যারা অনলাইনের সাথে জড়িত তাদের মধ্যে এমন
কাউকে খুজে পাওয়া যাবে না যে ইউটিউবের নাম
জানেনা বা ইউটিউবে ভিডিও দেখে না। বর্তমানে
ভিডিও শেয়ারিং এবং দেখার জনপ্রিয় একটি সাইট হচ্ছে
ইউটিউব। অথচ আমরা অনেকেই জানিনা যে ইউটিউব
থেকেও ইনকাম করা যায়। ইউটিউব থেকে ইনকাম
করার যে কার্য পদ্ধতি, এই পদ্ধতিকেও একরকম
ইউটিউব মার্কেটিং বলা যায়।
সোজা কথায়, ইউটিউবে ভিডিও আপলোড ও
শেয়ার করে অর্থ উপার্জন করাকেই ইউটিউব
মার্কেটিং বলে। প্রশ্ন উঠতে পারে, ইউটিউব
কেন অর্থ প্রদান করে? এই প্রশ্নের উত্তর
নিচে দেয়া আছে।
ইউটিউব কেন টাকা দেয়:
ইউটিউব হল গুগলের একটি জনপ্রিয় ভিডিও
শেয়ারিংসাইট, অ্যালেক্সা র্যাংকিং অনুযায়ী গুগলের
পরেই এর স্থান (মানে ২ নম্বর সাইট)। ইউটিউব
আপনাকে টাকা দেয়, কারন তারা (মানে ইউটিউব)
আপনার ভিডিও-তে অ্যাড প্রকাশ করে আর অ্যাড
পাবলিশারদের কাছ থেকে টাকা নেয় আর সেই
টাকার একটা অংশ ইউটিউব রেখে, বাকি অংশ আপনাকে
দেয়।
ইউটিউবে আয় করতে প্রথম ধাপে যা
লাগবে-
ধৈর্য্য বা কাজ করার দৃঢ় মানসিকতা
কম্পিউটার
ইন্টারনেট
যদি আপনার প্রথম ধাপের সব ঠিক থাকে
তাহলে দ্বিতীয় ধাপে আপনার যা লাগবে-
প্রথমে পছন্দ অনুযায়ী টপিক বা নিস নির্বাচন
করুন।
ইউটিউব ও গুগুলে গিয়ে আপনার নির্বাচিত টপিক
দিয়ে সার্চ দিয়ে দেখুন সেগুলো দিয়ে
কেউ সার্চ দেয় কিনা, সার্চ না দিলে এরকম
টপিক নির্বাচন করুন যা দিয়ে লোকজন সার্চ
দেয়।
টপিক বা নিস নির্বাচন হয়ে গেলে ঐ টপিক বা
নিস দিয়ে ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি করুন।
এবার চ্যানেলে সব ইনফরমেশান দিয়ে
সুন্দরভাবে সাজান।
আপনার নির্বাচিত টপিক বা নিস অনুযায়ী ডাটা
সংগ্রহ করুন।
ডাটা সংগ্রহ হলে এবার ভিডিও তৈরি করুন। ভিডিও
তৈরির সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে, যতটা
সম্ভব ভিডিওটা যেন প্রফেশনাল মানের হয়।
আপনার নির্বাচিত টপিক বা নিস অনুযায়ী ভিডিওর
জন্য টাইটেল, ডেসক্রিপশন এবং ট্যাগ তৈরি
করুন।
টপিক বা নিস অনুযায়ী প্রফেশনাল মানের
থাম্বনাইল তৈরি করুন।
সব কিছু প্রস্তুত হয়ে গেলে এবার ভিডিও
আপলোড করুন।
ভিডিও আপলোড হয়ে গেলে সোশ্যাল
মিডিয়াতে শেয়ার করুন। যদি কারো এস.ই.ও
জানা থাকে, তাহলে এস.ই.ও করতে পারেন।
তবে টিউন শেষ করার আগে সবাইকে অনুরোধ
করবো অন্যের ভিডিও নকল করে আপলোড
করবেন না, এটা ইউটিউব অপছন্দ করে না, এমনকি
আপনার চ্যানেল সাসপেন্ডও করে দিতে পারে।
আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে সারা জীবন আয়
করতে পারবেন, তাহলে নকল করে কেন ঝুকি
নিতে যাবেন।
একটু মনযোগ সহকারে কাজ করলে আপনি
অবশ্যই সফল হবেন আর ঘুড়ে যাবে আপনার
জীবন গাড়ির চাকা এবং সফলতা আপনাকে হাত বাড়িয়ে
ঢাকবে। আর এ কাজে সহযোগিতা প্রয়োজন,
আমি তো আছি, প্রয়োজন হলে জানাবেন,
অবশ্যই সহযোগিতা করবো। তবে আমি নিজে
যেভাবে কাজ করছি তা সবার সাথে শেয়ার করলাম,
ভালো লাগলে আমার গাইডলাইন ফলো করবেন।
আর যদি ভূল হয় ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবন।
সবাইকে শুভ কামনা জানিয়ে এখানেই শেষ করলাম
আমার আজকের টিউন। আমার পরবর্তী টিউন টপিক
বা নিস নির্বাচন সম্পর্কে সবাইকে দেখার
আমন্তরন রইল।

welcome

welcome new blog