Thursday, January 25, 2018

রোহিঙ্গাদের জন্য রাখাইনে বাড়িঘর করছে ভারত

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গারা যাতে দেশে ফিরে নিরাপদে থাকতে পারে, সে জন্য মিয়ানমারের রাখাইনে বাড়িঘর তৈরি করে দিচ্ছে ভারত সরকার। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী কমপ্লেক্স পরিদর্শনের সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন হাইকমিশনার।

হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশ সরকার
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে যে কাজ করেছে,
ভারত তার প্রশংসা করে। ভারত সরকার বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নে অংশীদার হয়ে কাজ করতে সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। ভারতের ভিসা প্রক্রিয়া
সহজ করার বিষয়ে হাইকমিশনার বলেন, আগে যেখানে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ৭ লাখ মানুষ ভারতে যেত, সেখানে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় এখন তা ১৪ লাখে দাঁড়িয়েছে। বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসাপ্রাপ্তির বিষয়টির প্রক্রিয়াও হতে পারে, যা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা সম্পর্কে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা বাংলাদেশে বর্বরতা ও নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। ওই সময় দানবীর রণদা প্রসাদ সাহাকেও তারা হত্যা করে। কিন্তু তাঁর রেখে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো বেঁচে থাকবে। মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য কুমুদিনীর
প্রতিষ্ঠানগুলো অনন্য উচ্চতায় আসীন রয়েছে। তাঁর নিঃস্বার্থ সমাজসেবামূলক কর্ম আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে।’

সকাল সাড়ে ১০টায় হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা কুমুদিনী কমপ্লেক্সে পৌঁছান। সেখানে কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা, পরিচালক শ্রীমতী সাহা, পরিচালক (শিক্ষা) প্রতিভা মুৎসুদ্দি ও পরিচালক সম্পা সাহা তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। পরে কুমুদিনী লাইব্রেরিতে চা-চক্র শেষে ভারতেশ্বরী হোমস পরিদর্শন করেন হাইকমিশনার। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা
শারীরিক কসরত প্রদর্শন করে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব নবনীতা চক্রবর্তী, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এম এ হালিম এবং কুমুদিনী হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের পরিচালক দুলাল চন্দ্র পোদ্দার উপস্থিত ছিলেন।


No comments:

Post a Comment